বেশ ভালো আছি
আমরা যখন কাউকে জিজ্ঞেস করি - আপনি কেমন আছেন? বা আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে? এর উত্তর দিতে গিয়ে আমরা প্রায়শই বলি - এই আছি কোনমতে, আছি মোটামুটি, মোটামুটি, আমাদের আর থাকা, গরিবের আর থাকা, এই চলছে আর কি, বেশি ভালো না। এতে কি হয়, আমরা আমাদের জীবন চালনায় সন্তুষ্ট নয় এটা প্রকাশ করি।
ফলে আমাদের ব্রেইন ভুল মেসেজ পাচ্ছে। এই লোক তার জীবনের প্রতি বিরক্ত। এর মাধ্যমে শরীরের খারাপ হরমোন গুলো তার সাথে সাড়া দিয়ে খারাপ হরমোন নিঃসৃত করে। এই অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে দেখবেন আপনার অল্পতে বিরক্তির উদ্রেক হয়,অল্পতে রেগে যান,জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জাগে, কোনকিছুই আপনার ভালো লাগেনা।
আবার এইসব জবাব দিয়ে আমরা কি অন্যের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করি অথবা হতে পারে নিজের ভালো থাকাটা অন্যকে প্রকাশ করতে না দেয়ার কৌশল করি। সে আপনার সামনে সহানুভূতি দেখাবে, কিন্তু পেছনে হাসবে। মানুষ অন্যের খারাপ সময় দেখলে মজা পায়। আরো দশজন কে নিয়ে আপনার অগোচরে হাসি ঠাট্টা করবে। সমাজে আপনাকে হ্যায় করার চেষ্টা করবে।বড় বিচিত্র এই মানবজাতি!
এর জবাবে যদি বলি - বেশ ভালো আছি বা ভালো আছি বা আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালো আছি। ফলে আপনার ব্রেইন ভালো বা সন্তুষ্টির মেসেজ পাবে। এর মাধ্যমে ভালো হরমোন গুলো আপনার শরীরে তৎপর হবে। আপনার মধ্যে ভালো লাগার একটা সুখানুভূতি তৈরি হবে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে - স্রষ্টা আপনার এ কৃতজ্ঞতাবোধ দেখে খুশি হবেন যে, আমার সৃষ্টি এত খারাপ অবস্থায় থেকেও আমার প্রতি সন্তুষ্ট। তখন স্রষ্টা পুরুস্কার হিসেবে আপনাকে ভালো কিছু উপহার দিয়ে আপনার সন্তুষ্টির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিবেন।
প্রিয় পাঠক, তাহলে কোনটি আপনার জন্য ভালো। মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করা নাকি স্রষ্টার সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করা । স্রষ্টার সহানুভূতি আপনাকে দেয়া হবে যেকোন সৃষ্টির মাধ্যমে এমনকি অন্যকোনো মানুষের মাধ্যমে হতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে, পৃথিবীতে কেউ দুঃখের ভাগ নিতে চায়না আপনজন বা ভালো মানুষ ছাড়া।
আসুন, আমরা নিজেদের জীবনে ভালো কিছুর অভ্যাস রপ্ত করি।ধন্যবাদ।
--------------------------- সমাপ্ত ----------------------------