আকাশ জয় করা রাইট ভাইদের সাফল্য:উড়োজাহাজ আবিষ্কারের কাহিনি

11 Oct 2025 09:13:08 AM

আকাশ জয় করা রাইট ভাইদের সাফল্য: উড়োজাহাজ আবিষ্কারের কাহিনি 

  • মোঃ জয়নাল আবেদীন 

১৮৬৭ সালের এক শীতের সকালে, আমেরিকার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ডেটন শহরে জন্ম নেন এক কৌতূহলী শিশু — উইলবার রাইট। চার বছর পর, ১৮৭১ সালে জন্ম নেয় তার ছোট ভাই অরভিল রাইট। দুই ভাইয়ের বাবার নাম মিল্টন রাইট, যিনি ছিলেন একজন ধর্মযাজক ও বইপ্রেমী মানুষ। মা সুসান ক্যাথারিন রাইট ছিলেন হাতে-কলমে কাজ জানা এক বুদ্ধিদীপ্ত নারী, যিনি নিজের হাতে নানা জিনিস তৈরি করতেন।

ছোটবেলায় একদিন তাদের বাবা বাইরে থেকে এনে দিলেন একটি অদ্ভুত খেলনা — ছোট্ট এক পাখার হেলিকপ্টার, যা রাবার ব্যান্ড ঘুরিয়ে বাতাসে ওড়া যায়। খেলনাটি ঘুরে ঘুরে উড়ে গেল আকাশে, আর দুই ভাই বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল।
সেই মুহূর্তে তাদের চোখে এক স্বপ্নের আগুন জ্বলে উঠল —

“যদি এই খেলনাটা উড়তে পারে, তাহলে মানুষ কেন পারবে না?”সেদিনের সেই খেলনাটিই তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

তারা জানত না, বহু বছর পর একদিন তারাই হবে সেই প্রথম মানুষ,যারা আকাশ জয় করবে — সত্যিকারের ডানা মেলে।

শৈশব থেকেই রাইট ভাইরা ছিল আলাদা ধরনের। অন্য বাচ্চারা যখন খেলাধুলায় মেতে থাকত, তারা তখন ভাঙা ঘড়ি, পাখার খেলনা, কিংবা পুরনো যন্ত্র খুলে দেখে বোঝার চেষ্টা করত—ভেতরে কীভাবে কাজ করে। তাদের চোখে পৃথিবী ছিল এক রহস্যময় জায়গা, যেখানে প্রতিটি জিনিসই শেখার মতো এক নতুন বিষয়।

উইলবার ছিলেন একটু শান্ত, চিন্তাশীল স্বভাবের। তার চোখে সব সময় এক ধরনের গভীর ভাব দেখা যেত। অন্যদিকে অরভিল ছিলেন প্রাণবন্ত, চঞ্চল, আর হাতে-কলমে কিছু না কিছু করতে ব্যস্ত। দুই ভাই যেন একে অপরের পরিপূরক—একজন ভাবতেন, আরেকজন কাজ করতেন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কৌতূহলও বাড়তে থাকে। তারা খবরের কাগজে উড়ন্ত যন্ত্র নিয়ে লেখা পড়ত, আকাশে পাখির উড়ে যাওয়ার ভঙ্গি লক্ষ্য করত।তাদের সবচেয়ে বেশি ভাবাত এক প্রশ্ন—“পাখিরা যখন উড়ে, তারা কীভাবে ভারসাম্য রাখে?”

একদিন তারা মাঠে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পাখির ডানা নড়াচড়া দেখল। তারা বুঝল, উড়ার মূল রহস্য শুধু ডানা নয়, বরং ভারসাম্য ও বাতাসের প্রবাহের নিয়ন্ত্রণে। এই আবিষ্কারই তাদের মনে আরও আগুন জ্বালিয়ে দিল।

কিছুদিন পর, তারা পড়াশোনা শেষ করে খুলল একটি সাইকেলের দোকান। দোকানের নাম রাখল — “Wright Cycle Company”।সেখানে তারা শুধু সাইকেল মেরামতই করত না, নিজেরাই নতুন নকশার সাইকেল তৈরি করত। সাইকেলের চাকায় ঘূর্ণন, ভারসাম্য রক্ষা, বায়ুর চাপ—এই সব জিনিস তারা খুব ভালোভাবে বুঝে ফেলেছিল।তাদের অজান্তেই সেই সাইকেল ব্যবসাই হয়ে উঠল উড়োজাহাজের পরীক্ষাগার।

রাতে দোকান বন্ধ হওয়ার পর, দুই ভাই চুপচাপ বসে কাগজে আঁকত নানা রকম উড়ন্ত যন্ত্রের ছবি। কেউ দেখলে হাসত, কেউ বলত—“পাগল হয়ে গেছে!”
কিন্তু তারা জানত—

“যে মানুষ নিজের স্বপ্নকে বিশ্বাস করে, পৃথিবী একদিন তাকেই অনুসরণ করে।”

দিন কেটে যাচ্ছিল, কিন্তু তাদের স্বপ্নের আগুন নিভছিল না।বরং প্রতিদিন আরও জ্বলে উঠছিল উজ্জ্বল হয়ে।তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল—একদিন তারা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করবে,যা মানুষকে সত্যিকারের আকাশে উড়তে সাহায্য করবে।

সাইকেলের দোকানে কাজ করতে করতে রাইট ভাইদের স্বপ্ন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। এখন তারা আর শুধু কল্পনা করত না—তারা সত্যি উড়ার পরীক্ষা শুরু করেছিল। কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবে? কোথায় উড়ার চেষ্টা করবে?—এই প্রশ্নই তখন তাদের মাথায় ঘুরছিল।

তারা শুনল, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হক (Kitty Hawk) নামের এক সমুদ্রতীরে প্রায় সারাবছর জোর বাতাস বয়, আর আশেপাশে লোকজনও কম। উইলবার একদিন বললেন,“ওখানেই হবে আমাদের পরীক্ষাগার— প্রকৃতির বুকের ওপর।”

১৮৯৯ সালে তারা প্রথম তৈরি করল একটি ছোট গ্লাইডারের মডেল। এটি এমন এক উড়ন্ত যন্ত্র, যা ইঞ্জিন ছাড়া কেবল বাতাসের সাহায্যে ভেসে থাকতে পারে। কিন্তু এটি কাজ করল না।তারা বুঝল, পাখির মতো উড়তে চাইলে শুধু ডানা বানালেই হবে না—ডানাকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে।

তারা দিনরাত বই পড়ত, অন্য বিজ্ঞানীদের ব্যর্থ প্রচেষ্টার বিশ্লেষণ করত। তারা আবিষ্কার করল, যদি ডানার কোণ একদিকে নিচু করা যায়, তবে উড়োজাহাজ ভারসাম্য হারাবে না—এটাই ছিল wing warping বা ডানা মোচড়ানোর ধারণা, যা পরবর্তীতে আধুনিক বিমানের মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে।

১৯০০ সালে তারা প্রথম বড় গ্লাইডার তৈরি করে কিটি হকে যায়। সেখানে বালির টিলা, বাতাস আর একটানা পরীক্ষা—একটার পর একটা চেষ্টা।
কখনও যন্ত্র উড়তে চায় না, কখনও তারা নিজেরাই পড়ে যায় বালিতে, কখনও ডানা ভেঙে যায়।
তবু তারা থামেনি।

দিনের পর দিন তারা বাতাসের টানেল তৈরি করে পরীক্ষা চালায়—যা ছিল বিশ্বের প্রথম দিকের wind tunnel। এই টানেলের ভেতর ছোট ডানার মডেল বসিয়ে তারা মাপত বাতাসের চাপ, দিক, ভারসাম্য।
তাদের হিসাব এত নিখুঁত ছিল যে, অনেক আধুনিক বিজ্ঞানীও পরে সেই তথ্য দেখে বিস্মিত হন।

ধীরে ধীরে তাদের উড়ন্ত যন্ত্রগুলো উন্নত হতে লাগল।প্রথমে কয়েক ফুট, পরে কয়েক গজ উড়ে টিকতে শুরু করল। তারা জানত—যদি ইঞ্জিন যুক্ত করা যায়, তাহলে মানুষ সত্যিই আকাশে উড়তে পারবে।

কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ ছিল হালকা কিন্তু শক্তিশালী ইঞ্জিন তৈরি করা। তখনকার বাজারে এমন ইঞ্জিন পাওয়া যেত না।তাই তারা নিজেরাই তৈরি করল চার সিলিন্ডারের এক ইঞ্জিন—মাত্র ১২ হর্সপাওয়ার শক্তি, কিন্তু ওজন কম।

দু’জনের চোখে তখন এক স্বপ্নের আলো—“আর কিছু সময়… আর একটুখানি সাহস… তাহলেই মানুষ উড়বে আকাশে।”তারা জানত না, তাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা একদিন বদলে দেবে পুরো পৃথিবীর ইতিহাস।

১৭ ডিসেম্বর, ১৯০৩ — এক ঠান্ডা, কুয়াশাময় সকাল। নর্থ ক্যারোলিনার সমুদ্রতীর কিটি হক। বাতাস বইছে জোরে, কিন্তু দুই ভাইয়ের চোখে ঝলমল করছে অদম্য আশার আলো। বছরের পর বছর চেষ্টা, ব্যর্থতা, আঘাত আর ঘাম—সবকিছু মিশে গেছে আজকের সকালে। আজ তারা শেষবারের মতো চেষ্টা করবে।

বালির উপর কাঠের রেললাইন পেতে তারা বসিয়েছে তাদের স্বপ্নের উড়োজাহাজ—“ফ্লায়ার” (Flyer)। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ১২ ফুট, কাঠ ও কাপড়ে তৈরি, আর তাতে বসানো তাদের নিজের হাতে বানানো চার সিলিন্ডারের ইঞ্জিন। দেখতে যেন এক বিশাল পাখির মতো—যার ডানায় লেখা মানুষের হাজার বছরের স্বপ্ন।

উইলবার ও অরভিল দু’জনেই দাঁড়িয়ে আছে পাশে।
বাতাসের গতি মাপা হলো—ঠিক আছে। ইঞ্জিনে জ্বালানি ঢালা হলো। উইলবার একবার ছোট ভাই অরভিলের দিকে তাকিয়ে বললেন,“আজ আমরা শুধু মানুষ নই, স্বপ্নের দূত।”

অরভিল হাসলেন। তিনি আজ প্রথমবারের মতো বিমানটি চালাবেন। তিনি কাঠের আসনে বসে, লিভারটা শক্ত করে ধরলেন।ইঞ্জিনের শব্দ ধীরে ধীরে বেড়ে উঠল—টক... টক... টক... গরররর...
হাওয়া কাঁপছে, ডানা কাঁপছে, হৃদয়ও কাঁপছে।

উইলবার পাশে দাঁড়িয়ে পাখির মতো দৌড় দিলেন বিমানটির সঙ্গে।তারপর... এক অলৌকিক মুহূর্ত!
“ফ্লায়ার” ধীরে ধীরে মাটি ছাড়ল, বালির উপর থেকে উড়ে উঠল!মানুষের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ভারী যন্ত্র, মানুষের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়ে, আকাশে উঠল।

 সময়ের ঘড়িতে—১২ সেকেন্ড, দূরত্ব—১২০ ফুট। তখনই বাতাসে ভেসে উঠল দুই ভাইয়ের উল্লাস!
অরভিল নেমে এলেন, মুখে বিস্ময়ের হাসি—“উইল! আমরা উড়েছি!”

দু’জনেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরল। তাদের চোখে জল—আনন্দের, গর্বের, স্বপ্ন পূরণের জল।দিনের বাকি সময়েও তারা আরও তিনবার উড়াল। দেয়।শেষবার উইলবার উড়লেন প্রায় ৮৫২ ফুট, প্রায় ৫৯ সেকেন্ড সময় ধরে। এভাবেই পৃথিবী পেল প্রথম সফল মানব-উড্ডয়ন।

সেই দিনটির খবর শুরুতে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি।
সংবাদপত্রে ছোট্ট এক লাইনে লেখা হয়েছিল—“দুই ভাই আজ আকাশে উড়েছে।”কিন্তু ইতিহাস জানে—সেই ছোট্ট লাইনের ভেতরেই লুকিয়ে ছিল এক বিশাল বিপ্লবের সূচনা।মানুষের পা প্রথমবার ছেড়েছিল মাটিকে, আর শুরু হয়েছিল এক নতুন যুগ—বিমানের যুগ।

কিটি হকের সেই ঠান্ডা ডিসেম্বরের সকালটি যেন এক নতুন যুগের সূর্যোদয় ছিল।মানুষ তখনও বুঝতে পারেনি, সেই ছোট্ট কাঠের যন্ত্রটা কত বড় এক বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে।যে দুই ভাই একসময় ছোট্ট খেলনা হেলিকপ্টার দেখে মুগ্ধ হয়েছিল, আজ তারাই মানুষকে আকাশে তোলার ইতিহাস লিখে ফেলেছে।

কিন্তু রাইট ভাইদের কাজ এখানেই থেমে থাকেনি।
তারা জানত, ১২ সেকেন্ডের উড্ডয়নই শেষ নয়, বরং সেটিই শুরু।তারা ফিরে গেল নিজেদের শহরে—ওহাইওর ডেটনে, যেখানে তাদের ছোট্ট ওয়ার্কশপে শুরু হলো আরও বড় পরিকল্পনা।

দিনরাত তারা কাজ করল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি বিমান তৈরি করা,যা দীর্ঘ সময় উড়তে পারবে, দূরে যেতে পারবে, আর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য হবে।


১৯০৪ সালে তারা তৈরি করল ফ্লায়ার II, আর ১৯০৫ সালে ফ্লায়ার III,যা আকাশে ৩৮ মিনিটেরও বেশি সময় উড়তে সক্ষম হয়—তখনকার সময়ের জন্য এক অবিশ্বাস্য কীর্তি!

তাদের এই আবিষ্কার নিয়ে প্রথমে অনেকেই সন্দেহ করেছিল।অনেকে ভেবেছিল, “এ কেবল গল্প!”
তারা সংবাদপত্রে ছবি ছাপাতে চাইল, কিন্তু সাংবাদিকরা তেমন আগ্রহ দেখাল না।তবু রাইট ভাইরা নির্ভয়ে তাদের কাজ চালিয়ে গেল।তারা জানত—“সত্যিকারের সাফল্য কখনো চিৎকার করে আসে না;সেটা আসে নীরবে, কিন্তু স্থায়ী হয়ে।”

ধীরে ধীরে দুনিয়া তাদের আবিষ্কারের দিকে তাকাতে শুরু করল।১৯০৮ সালে তারা ফ্রান্সে গিয়ে প্রদর্শনী উড়ান দেয়। হাজার হাজার মানুষ বিস্ময়ে দেখল— মানুষ সত্যিই আকাশে উড়তে পারে!ফরাসি সংবাদপত্রের শিরোনাম হলো—“রাইট ভাইরা আকাশ জয় করেছে!”

এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারও তাদের বিমান কেনার আগ্রহ দেখায়।রাইট ভাইরা তখন নিজেদের কোম্পানি গড়ে তোলে—The Wright Company—  যেখান থেকে তৈরি হতে থাকে আরও উন্নতমানের বিমান।

তাদের ছোট্ট গ্লাইডার থেকে শুরু করে আজকের বিশাল জেট বিমান,সবকিছুর পেছনে রয়েছে তাদের সেই প্রথম উড়ানের নকশা, চিন্তা, আর সাহসের প্রতিচ্ছবি।

তাদের কাহিনি প্রমাণ করে—যখন মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং সেই স্বপ্নের জন্য লড়াই করে,তখন আকাশও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

আজ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন উড়ে বেড়ায় আকাশে—বিমান, হেলিকপ্টার, রকেট কিংবা মহাকাশযানে। সবকিছুর শুরু হয়েছিল সেই দুই ভাইয়ের হাত ধরে,যারা বিশ্বাস করেছিল—“মানুষ জন্মেছে শুধু হাঁটার জন্য নয়, উড়ার জন্যও।”

রাইট ভাইদের গল্প শুধু একটি আবিষ্কারের গল্প নয়—এটি এমন এক বিশ্বাসের গল্প, যা মানুষকে অসম্ভবের সীমা ছাড়িয়ে যেতে শেখায়।

ছোটবেলায় তাদের হাতে ছিল কেবল একটিমাত্র খেলনা, আর মনে ছিল একটিমাত্র প্রশ্ন—“মানুষ কি উড়তে পারবে?” সেই ছোট প্রশ্নটাই একদিন হয়ে উঠল মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় উত্তর।

তারা কোনো ধনী পরিবারে জন্ম নেয়নি,
না ছিল তাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা বৈজ্ঞানিক উপাধি।তাদের ছিল কেবল অদম্য কৌতূহল, শেখার ইচ্ছা, আর হাল না ছাড়ার মানসিকতা।এই তিন শক্তিই তাদের তুলেছিল আকাশে।তাদের জীবন শেখায়—“জ্ঞান বইয়ের ভেতরে নয়, থাকে কৌতূহলের ভেতরে।”

রাইট ভাইরা শতবার ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু তারা কখনও হাল ছাড়েনি।যখন গ্লাইডার মাটিতে ভেঙে পড়ত, তারা ভয়ের বদলে শেখার সুযোগ খুঁজত।
তাদের প্রতিটি ভুল ছিল পরবর্তী সাফল্যের সিঁড়ি।

যখন মানুষ তাদের পাগল বলেছিল,
তারা হেসে বলেছিল,“একদিন এই পাগলামিই মানবজাতিকে আকাশে তুলবে।”আজ যখন বিমানে বসে মানুষ আকাশের ওপরে মেঘের ভেতর দিয়ে উড়ে, তখন কেউ হয়তো ভাবে না—এই স্বাধীনতার পেছনে দুই ভাইয়ের ঘাম, ব্যথা আর বিশ্বাস লুকিয়ে আছে।

রাইট ভাইদের কাহিনি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—“স্বপ্নের কোনো সীমানা নেই।মানুষ যতক্ষণ চেষ্টা করে,ততক্ষণ অসম্ভব বলে কিছু থাকে না।”