কাগজ বিক্রেতা থেকে কোটিপতি: দাউলত ওয়াটানির গল্প

07 Oct 2025 12:31:51 AM

থেকে কোটিপতি: দাউলত ওয়াটানির গল্প

  • মোঃ জয়নাল আবেদীন

১৯৫৫ সালের গরমের এক দুপুর। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম নাগপুরের পাশের এক দরিদ্র বস্তি এলাকায়,জন্ম নেয় এক বালক — দাউলত ওয়াটানি।

তার জন্ম ছিল না কোনো ধনী পরিবারের ঐশ্বর্যের ছোঁয়ায়,বরং এক ছিন্নভিন্ন ঘরের খড়ের ছাউনি আর ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া জীবনের গল্পে। তাঁর বাবা গোপাল ওয়াটানি, ছিলেন এক সাধারণ কাগজ পরিবহন শ্রমিক, যিনি স্থানীয় প্রিন্টিং প্রেসে ভার বহন করতেন মাত্র কয়েক রুপি মজুরিতে।মা সুনীতা ওয়াটানি, বাড়ির পাশের স্কুলে মাঝে মাঝে ঝাড়ু দিতেন, কখনও আবার অন্যের বাসায় গিয়ে কাপড় ধুতেন, যেন ছেলেমেয়েদের একবেলা খাবার জোটে।

সেই ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ, না ছিল ভালো পোশাক, না পর্যাপ্ত খাবার। তবুও প্রতিদিন সন্ধ্যায় মা যখন কুপির আলো জ্বালাতেন, ছোট্ট দাউলত তার পাশে বসে বলত— “মা, আমি একদিন তোমার জন্য বড় বাড়ি বানাবো… তুমি আর কষ্ট করবে না।”মা তখন মৃদু হাসতেন— “বাবা, শুধু সৎ থেকো। টাকা না হোক, মানুষটা যেন বড় হয়ো।”

এই কথাগুলো শিশুটির মনে এমনভাবে গেঁথে গিয়েছিল, যে সেদিন থেকেই দাউলতের স্বপ্ন শুরু হয় — দারিদ্র্যের খাঁচা ভেঙে, নিজের ভাগ্য নিজের হাতে গড়ার স্বপ্ন।স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি, সে বাবার কাজে সাহায্য করতে শুরু করে। সকালে খবরের কাগজ বেঁধে বাজারে পৌঁছে দিত, বিকেলে স্কুলে যেত, রাতে পড়ত কুপির মৃদু আলোয়।বন্ধুরা খেলতে যেত মাঠে, কিন্তু দাউলত ভাবত —“আমি খেলব না, আমি কাজ করব;কারণ আমি জানি, আমার পরিবারের হাসিটা আমার কাঁধেই নির্ভর করছে।”

১৯৬০ সালের দিকে, যখন সে মাত্র ৫ বছর বয়সী, পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা চরমে পৌঁছায়। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন, কাজ করতে পারেন না।তখনই ছোট্ট দাউলত নিজের হাতে ধরল সংবাদপত্রের বান্ডিল,এবং শুরু হলো তাঁর জীবনের প্রথম অধ্যায় —  “কাগজ বিক্রেতা দাউলত ওয়াটানি।”

সেই দিনই হয়তো কেউ ভাবেনি— এই কাগজ বিক্রেতা একদিন নিজের কাগজ কোম্পানির মালিক, কোটিপতি উদ্যোক্তা দাউলত ওয়াটানি হয়ে উঠবে।

১৯৬১ সালের এক শীতল ভোর। মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহর তখনও ঘুমে ঢুলছে। রাস্তার বাতিগুলো ফিকে আলো ছড়াচ্ছে, আর কুয়াশার ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছেএকটি ছোট্ট ছেলেকে — কাঁধে ঝোলানো ভারী সংবাদপত্রের বান্ডিল,ছোট ছোট পায়ে শহরের দিকে দৌড়াচ্ছে সে।তার নাম দাউলত ওয়াটানি, বয়স তখন মাত্র ৬ বছর।

বাবা অসুস্থ, মা ভোরে অন্যের বাড়ি কাজ করতে গেছেন। বাড়িতে খাবার বলতে আগের রাতের শুকনো রুটি আর একটু পানি। দাউলত নিজের মনে বলে— “আজ যদি সব কাগজ বিক্রি করতে পারি, তাহলে মা’র জন্য দুধ আনব।”

এভাবেই শুরু হয় তার প্রতিদিনের সংগ্রাম।
নাগপুর শহরের স্টেশন, বাজার, রাস্তাঘাট —
যেখানেই যেত, দাউলত ওয়াটানির মুখে  একটাই ডাক শোনা যেত,  “টাইমস অফ ইন্ডিয়া! লোকমত! হিন্দুস্তান টাইমস!” সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলত এই দৌড়ঝাঁপ।

সূর্য যখন তীব্র গরমে মাথার উপর আগুনের মতো জ্বলত, তখন দাউলত রাস্তার পাশে একটা গাছের নিচে বসে পকেট থেকে গোনা শুরু করত— দশ পয়সা, বিশ পয়সা, ত্রিশ পয়সা…মোটে এক রুপি পঞ্চাশ পয়সা! তবুও তার মুখে হাসি।কারণ সে জানত — “এটাই আমার মূলধন। একদিন আমি এই টাকা দিয়েই বড় হবো।”

চার বছর কেটে গেছে। এখন দাউলতের বয়স ১০ বছর। সে বুঝে গেছে, শুধু কাগজ বিক্রি করে বাঁচা যাবে না।  একদিন একজন ক্রেতা তাকে বলল, “ছেলে, তুমি শুধু কাগজ বেচো কেন? এর বিজ্ঞাপন ছাপার ব্যবসা করলে তো বেশি লাভ।”সেদিন থেকেই দাউলতের মনে নতুন আগুন জ্বলে ওঠে। সে ভাবল— “কাগজ আমি বিক্রি করতে পারি, এখন আমি বানাতেও পারব।”

রাতের খাবারের পর মায়ের কাছে গিয়ে বলল, “মা, আমি একদিন নিজের কাগজের দোকান খুলব।”মা হাসলেন, মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, “তোর স্বপ্ন বড়, কিন্তু তুই তার যোগ্য, বাবা।”

 ১৯৬৮ — প্রথম ছোট উদ্যোগ। মাত্র ১৩ বছর বয়সে, দাউলত ধার করা ২০ রুপিতে
একটি পুরোনো সাইকেল কেনে এবং কাগজ সরবরাহের কাজ শুরু করে।  সে এখন শুধু বিক্রেতা নয়, পরিবেশকও। দিনে স্কুল, রাতে ডেলিভারি — তবুও তার চোখে ক্লান্তি নয়, এক অদম্য আগ্রহ।

প্রতিদিন সকালে নাগপুরের রেলস্টেশন থেকে কাগজ তুলে, সাইকেলে করে বিভিন্ন দোকানে পৌঁছে দিত। লোকেরা বলত, “এই ছেলেটা একদিন বড় কিছু করবে।” তখন কেউ জানত না,
এই ছেলেটাই একদিন ভারতের অন্যতম বড় কাগজ ব্যবসায়ী হবে।

 ১৯৭২ সাল। এই বছরেই দাউলতের বাবা মারা যান। বয়স তখন ১৭ বছর। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের দায়িত্ব পুরোপুরি তাঁর কাঁধে এসে পড়ে।  তবুও হাল ছাড়েননি। পত্রিকা বিক্রি, বিজ্ঞাপন বিলি, কাগজ সরবরাহ — সব একা হাতে চালাতে লাগলেন।

এক রাতে নিজের ছোট্ট ঘরে বসে বলেছিলেন— “আমি হেরে যাব না। আজ আমি কাগজ বিক্রি করি, একদিন আমি নিজের কারখানায় কাগজ তৈরি করব।”এভাবেই দাউলত ওয়াটানির জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শেষ হয় — যেখানে ক্ষুধা, কষ্ট, অপমান ছিল,বকিন্তু হার ছিল না।ছিল শুধু এক অদম্য স্বপ্ন —  নিজের ভাগ্য নিজ হাতে গড়ার সাহস।

১৯৭৫ সালের বসন্ত।  নাগপুর শহরের রাস্তাঘাট তখনও কুয়াশা ও ভোরের সঙ্গী। একটি ছোট্ট ঘরে বসে দাউলত ওয়াটানি। বয়স মাত্র ২০,
হাতের কাগজপত্র আর ঘামের ফোঁটা বুকে নিয়ে ভাবছিলেন— “আমি কেবল কাগজ বিক্রি করে বড় হতে পারব না। এবার নিজের ব্যবসা শুরু করব।”

দাউলতের কাছে নিজের পুঁজির অভাব। তাই তিনি নেন ৫,০০০ রুপি ধার। বন্ধুর আশ্বাস— “চিন্তা করিস না, তুমি সফল হবে।” ছোট অফিস ভাড়া নিলেন, প্রিন্টিং মেশিন কিনলেন, কাগজের স্টক সাজালেন। প্রথম দিনই শহরের দোকানগুলোতে ক্লায়েন্ট খুঁজতে বের হলেন।

কিন্তু বাস্তবতা কেমন কঠিন হতে পারে, সেটা তখনই বুঝতে পারলেন—অনেক ক্লায়েন্ট চুক্তি ভঙ্গ করল।কিছু অংশীদার প্রতারণা করল, টাকা নিয়ে পালাল।প্রিন্টিং মেশিনে ত্রুটি, সরবরাহে দেরি, সব মিলিয়ে লোকসান।দাউলত রাতের আঁধারে অফিসের চেয়ারে বসে কাগজপত্রের হিসাব দেখছিলেন। মাথার মধ্যে একটাই প্রশ্ন: “আমি কি হারব? নাকি আবার উঠে দাঁড়াব?”

ওই রাতে তার ঘরে ভীষণ নীরবতা। শুধু বাতাসের শব্দ আর দূরে রেলস্টেশনের ঘণ্টার টনটন।
দাউলত জানত—এবার হাল ছেড়ে দিলে সব শেষ। সে নিজের কণ্ঠে বলল— “ব্যবসায় প্রতিকূলতা স্বাভাবিক। তবে আমি শিক্ষার মূল্য বুঝতে জানি। যেই শিক্ষা ব্যর্থতায় লুকানো, সেটাই সবচেয়ে শক্তিশালী।”এবার সে সিদ্ধান্ত নিল— ব্যর্থতা মানেই শিক্ষা। আমি হারিনি, আমি শিখেছি।

পরবর্তী বছরগুলোতে দাউলত নিজের ব্যবসা নতুন শক্তি নিয়ে চালু করলেন— ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাস স্থাপন। মানসম্মত প্রিন্টিং, সময়মতো সরবরাহ।ছোট ছোট ঝুঁকি নিয়ে বড় সুযোগ খোঁজা।

১৯৭৮ সালের দিকে, তার ব্যবসা ধীরে হলেও লাভের দিকে এগোতে লাগল। দাউলত বুঝলেন—“সাফল্য আসে সেই মানুষকে,
যে হারার পরও উঠে দাঁড়ায়।”

এখন দাউলতের লক্ষ্য স্পষ্ট— একদিন শুধু কাগজ বিক্রি নয়, নিজের কাগজ কোম্পানি তৈরি করা। তার মধ্যে জন্ম নিয়েছে এক অদম্য মনোভাব— যা তাকে তৈরি করবে কোটিপতি উদ্যোক্তা দাউলত ওয়াটানি হওয়ার জন্য।

১৯৮০ সালের বসন্ত। দাউলত ওয়াটানি বয়স তখন ২৫ বছর। ছোটখাটো ব্যর্থতা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সে শিখেছে—“ব্যবসার সাফল্য আসে শুধু সাহসী মানুষদের কাছে, যারা শিক্ষা গ্রহণ করে হাল ছাড়ে না।”এই বছরেই সে বড় সিদ্ধান্ত নিল— নিজের কাগজ কোম্পানি খুলব, যেটি শুধু বিক্রি নয়, তৈরি করবে।

দাউলত ধার ও ব্যক্তিগত সঞ্চয় মেলিয়ে খুঁজে পেলেন একটি ছোট কারখানা। একটি প্রিন্টিং মেশিন, কাগজের স্টক এবং দু-একজন সহকর্মী দিয়ে শুরু হলো Orient Paper & Industries। প্রথম দিনেই তার মন ভরে যায়— “এই কারখানার প্রতিটি কাগজ, প্রতিটি মেশিন, আমার স্বপ্নের অংশ।”

কিন্তু সহজ ছিল না। সরবরাহকারী মাঝে মাঝে দেরি করত। ক্রেতারা চাইত কম দাম, বেশি মান। বাজার প্রতিযোগিতা তীব্র।

দাউলত হাল ছাড়লেন না। সে দিনের আলোয় মেশিনের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করত, রাতে হিসাব করে, ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখত।

১৯৮৩–১৯৮৫ সালের মধ্যে, তার ছোট কারখানার ব্যবসা শহরের বাইরে ছড়িয়ে পড়ল।ভারতজুড়ে কাগজ সরবরাহ। স্থানীয় প্রকাশকরা তার কারখানার মানসম্মত পণ্য গ্রহণ করল। ধীরে ধীরে লোকজন বিশ্বাস করল দাউলতের উপর। “যে বিশ্বাস অর্জন করে, সে বড় হতে পারে,” এটি তার জীবনের মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়াল।

দাউলত জানত শুধু উৎপাদন বা বিক্রি যথেষ্ট নয়। সে নতুন ধরনের কাগজ নিয়ে গবেষণা করল। বিশেষ প্যাকেজিং ব্যবসা শুরু করল।ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট বানাল। এই উদ্ভাবন ও কঠোর পরিশ্রমই তাকে তৈরি করল নিখুঁত ব্যবসায়ী।

১৯৯০ সালের দিকে, তার কোম্পানি হয়ে উঠল ভারতের অন্যতম বড় কাগজ উৎপাদন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান। দাউলতের ব্যবসা কেবল শহর নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেছে। তার ছোটবেলার লেবুর শরবত বিক্রি বা কাগজপত্রের দিনগুলো মনে পড়ল। সেই ছেলেটিই আজ কোটিপতি উদ্যোক্তা।

১৯৯১ সালের শীতকাল। দাউলত ওয়াটানি বসেছিলেন তার ছোট্ট অফিসে।চায়ের কাপে হাত রেখে তিনি ভাবছিলেন—“আমার ব্যবসা ভারতের বাইরে যেতে হবে। আর যদি সম্ভব হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করব।”কাগজের ছোট কারখানার ছেলেটি এখন বড় উদ্যোক্তা। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল— ভিন্ন দেশে বিপণন, নতুন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি।

১৯৯২ সালের বসন্ত, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম কাগজ সরবরাহের চুক্তি। দাউলত প্রথমবার বিমান ধরলেন বিদেশ যাত্রায়।বিমানে বসে জানালার পাশে চোখে জল, মনে বললেন— “আমি সেই ছেলে, যে ৬ বছর বয়সে রাস্তায় কাগজ বিক্রি করত। আর আজ আমি প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যাচ্ছি।”

চুক্তি সহজ ছিল না।ক্রেতারা সন্দিহান।মান নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম।প্রতিটি প্যাকেজ, প্রতিটি কাগজ যেন তার নিজের চোখ দিয়ে পরীক্ষা করা।দাউলতের সততা এবং মানের প্রতি অদম্য মনোভাব চুক্তি নিশ্চিত করল।এরপর থেকে চুক্তি পর চুক্তি, একের পর এক দেশের দরজা খুলতে থাকল।

১৯৯৫–২০০০ সালের মধ্যে, দাউলত বুঝলেন শুধু রপ্তানি নয়, নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন তার ব্যবসাকে আরও বড় করবে।আধুনিক প্রিন্টিং মেশিন কেনা।দ্রুত সরবরাহ ব্যবস্থা।নতুন ধরনের বিশেষ কাগজ, পরিবেশ বান্ধব প্যাকেজিং।

কর্মীরা তাকে বলল,“স্যার, এত বড় পরিবর্তন সহজ নয়।”দাউলত হেসে বললেন, “যদি সহজ হত, আমার ছোট্ট ছেলেবেলার স্বপ্ন কোথায় থাকত?”

২০০৫–২০১০ সালের মধ্যে, কোম্পানি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কিছু দেশে প্রবেশ করল। প্রথমবারের মতো বিদেশে কাগজ সরবরাহ করতে গিয়ে,দাউলত নিজেই যাচ্ছিল ট্রাকে প্যাকেজ পরীক্ষা করতে। ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা, তাদের চাহিদা বোঝা, এবং সরবরাহের প্রতিটি ধাপ নিজ হাতে দেখার অভ্যাস আজও অব্যাহত।

একদিন ক্রেতা বলল— “স্যার, আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না, আপনার কোম্পানি এতটা বিশ্বস্ত!” দাউলত হেসে বললেন— “বিশ্বাস হল মূল, মান হল অস্ত্র। আমি শুধু সেই মান বজায় রেখেছি।”

আজ, দাউলত ওয়াটানি একজন আন্তর্জাতিক কোটিপতি উদ্যোক্তা।  তার কোম্পানি শুধুই ব্যবসা নয়—এটি প্রতিশ্রুতি, মান, এবং বিশ্বাসের প্রতীক।
ছোট্ট কাগজ বিক্রির দিনগুলো থেকে শুরু হয়ে আজকের আন্তর্জাতিক সাফল্য— এটি প্রমাণ করে, স্বপ্ন এবং কঠোর পরিশ্রম একসাথে থাকলে সীমা মানেই বন্ধন নয়।

দাউলতের গল্প শেখায়— সংগ্রাম ও ধৈর্যই সাফল্যের মূল।ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করলে শক্তি পাওয়া যায়।সততা ও বিশ্বাস ব্যবসার সবচেয়ে বড় সম্পদ। ছোট উদ্যোগও একদিন বড় সাফল্যের বীজ হতে পারে।

দাউলত ওয়াটানির জীবন প্রমাণ করে—“দারিদ্র্য জন্মগত বাধা হতে পারে, কিন্তু সাহস, ধৈর্য ও স্বপ্ন মানুষকে অদম্য করে তোলে। ছোট কাগজ বিক্রির দিনগুলো থেকেই শুরু হয় কোটিপতির যাত্রা।”