কথা কম, কাজ বেশি: সফল মানুষের বৈশিষ্ট্য

04 Oct 2025 03:23:55 PM

কথা কম, কাজ বেশি: সফল মানুষের বৈশিষ্ট্য

  • মোঃ জয়নাল আবেদীন

মানুষের জীবনে সাফল্য শুধু স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে আসে না, বরং কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—যাঁরা সত্যিকার অর্থে বড় হয়েছেন, তাঁরা বেশি কথার পরিবর্তে কর্মের দ্বারা নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ কারণেই বলা হয়, “কথা কম, কাজ বেশি” সফল মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

প্রথমত, যারা বেশি কাজ করেন তারা সময় নষ্ট করেন না। কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে অনেক সময় মানুষ বাস্তব কাজে পিছিয়ে পড়ে, কিন্তু যারা কাজকে অগ্রাধিকার দেন তারা প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগান। তাঁদের লক্ষ্য থাকে পরিষ্কার—কীভাবে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, কর্মনিষ্ঠ মানুষ সমাজে আস্থা অর্জন করেন। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বরং কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করাই আসল শক্তি। যেমন, মহাত্মা গান্ধী বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের জীবনে কর্ম দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছিলেন। তারা বেশি বড়াই করেননি, বরং নিঃস্বার্থ কর্মের দ্বারা মানুষকে একত্র করেছিলেন।

তৃতীয়ত, নীরবে কাজ করে যাওয়া মানুষরা সফলতার পথে দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা বড় বড় কথা বলে তারা অনেক সময় প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পেরে বিশ্বাস হারায়। কিন্তু যারা নিভৃতে কাজ করে যান, তাঁদের কাজই হয়ে ওঠে তাঁদের পরিচয় ও শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষী।

অন্যদিকে, কথার চেয়ে কাজে জোর দেওয়া মানে আত্মশৃঙ্খলা বজায় রাখা। প্রতিটি সফল মানুষ জানেন, কাজই প্রকৃত বিজ্ঞাপন। কর্মক্ষমতাই প্রমাণ করে তিনি কতটা যোগ্য।

সত্যিকার সাফল্য কথায় নয়, কর্মে। যারা কথার চেয়ে কাজকে প্রাধান্য দেন, তারাই স্থায়ী সম্মান ও স্বীকৃতি লাভ করেন। ইতিহাসের প্রতিটি যুগে এমন মানুষই সমাজে আলোকবর্তিকা হয়ে থেকেছেন। তাই সফলতার জন্য প্রয়োজন নীরব কর্মপ্রচেষ্টা, দৃঢ় মনোবল এবং নিরলস পরিশ্রম। কথার চেয়ে কাজ বেশি—এটাই সফল মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

  মানুষের জীবনে সাফল্য এমন এক স্বপ্ন, যা প্রত্যেকেই দেখতে চায়। তবে এ স্বপ্ন পূরণের পথ কখনোই সহজ নয়। সাফল্যের জন্য শুধু সুন্দর চিন্তা বা বড় বড় কথা যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন হয় কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং নীরব কর্মতৎপরতা। সমাজে আমরা প্রায়ই দেখি—অনেকে শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, অঢেল কথা বলেন, কিন্তু কাজে তার প্রতিফলন থাকে না। অন্যদিকে, প্রকৃত সফল ব্যক্তিরা কখনো বেশি কথা বলেন না, বরং কাজের মধ্য দিয়েই নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করেই বলা যায়, “কথা কম, কাজ বেশি”—এটাই সফল মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

কথার সীমাবদ্ধতা ও কাজের শক্তি

কথা বা ভাষা মানুষের চিন্তা প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হলেও, কাজ ছাড়া তা অসম্পূর্ণ। কথায় মানুষকে আকৃষ্ট করা যায়, অনুপ্রাণিত করা যায়, কিন্তু স্থায়ী প্রভাব ফেলে শুধু কাজ। ইতিহাসে অনেক উদাহরণ আছে যেখানে কথার চেয়ে কাজ মানুষকে বেশি বিশ্বাসী করেছে। কথায় আস্থা রাখা যায় সাময়িকভাবে, কিন্তু কর্মই একজন মানুষকে স্থায়ী সম্মান এনে দেয়।

একজন মানুষ যত বেশি কথা বলে, তত বেশি নিজেকে প্রমাণ করার দায়িত্ব নেয়। কিন্তু যারা নীরবে কাজ করে যান, তাঁদের কাজই হয়ে ওঠে পরিচয়ের শক্তিশালী সাক্ষ্য। এ কারণেই সমাজ তাদের দীর্ঘদিন মনে রাখে।

মনিষীদের জীবন থেকে শিক্ষা

১. থমাস আলভা এডিসন: নীরব অধ্যবসায়ী

 এডিসন ছোটবেলা থেকেই স্কুলে খুব ভালো ছাত্র ছিলেন না। শিক্ষকরা তাঁকে বলতেন—“এই ছেলেটি কিছুই শিখতে পারবে না।” কিন্তু এডিসন এসব কথার কোনো প্রতিবাদ করেননি। তিনি নীরবে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। একের পর এক পরীক্ষা, ব্যর্থতা, আর নতুন প্রচেষ্টা—এভাবেই তিনি বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করেন। তিনি বলেছিলেন—“I have not failed. I’ve just found 10,000 ways that won’t work.”
- এই গল্প প্রমাণ করে, বেশি কথা নয়, বরং অবিরাম কাজই মানুষকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেয়।

 

২. আব্রাহাম লিংকন: ব্যর্থতা থেকে সাফল্যে

লিংকনের জীবন ব্যর্থতায় ভরা ছিল। ব্যবসায় ব্যর্থতা, নির্বাচনে বারবার পরাজয়, এমনকি সংসার জীবনের কষ্টও তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু তিনি কখনো অভিযোগ করেননি, আক্ষেপ করেননি। তিনি নীরবে কাজ করে গিয়েছেন—নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। অবশেষে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছিলেন, নীরব কর্মপ্রচেষ্টা কথার চেয়ে শক্তিশালী।
  তাই লিংকনের জীবন হলো—“কথা নয়, কাজই মানুষকে মহান করে তোলে।”

৩. মহাত্মা গান্ধী: অহিংস সংগ্রামের যাত্রী

 গান্ধীজির শক্তি ছিল তাঁর কর্মে, কথায় নয়। তিনি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালান। তিনি শুধু বক্তৃতা দেননি, বরং নিজের জীবনে অহিংসা ও সত্যকে মেনে চলেছেন। তিনি লবণ আইন ভঙ্গ করতে মাইলের পর মাইল হেঁটে সাধারণ মানুষকে জাগ্রত করেছিলেন।
- গান্ধীর জীবন শেখায়—নীরব কর্মই জাতিকে জাগ্রত করতে পারে।

৪. স্টিভ জবস: কাজই সাফল্যের পরিচয়

স্টিভ জবস শুরু করেছিলেন একটি ছোট গ্যারেজে। তিনি বড় বড় স্বপ্ন নিয়ে বক্তৃতা দেননি, বরং ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নিজের কাজ দিয়ে তিনি অ্যাপলকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতে রূপান্তর করেন।
-  তাঁর জীবনও প্রমাণ করে—“কথা কম, কাজ বেশি”—সফলতার মূল চাবিকাঠি।

সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে প্রয়োগ

কথার চেয়ে কাজকে গুরুত্ব দিলে সমাজে আস্থা জন্মায়। কর্মঠ মানুষকে সবাই সম্মান করে, তাঁর ওপর ভরসা রাখতে শেখে। কর্মপ্রবণতা শুধু ব্যক্তিগত উন্নতিই নয়, বরং সামষ্টিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে। যেমন—শিক্ষক যদি শুধু শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু নিজে পড়ান না, তবে ছাত্ররা অনুপ্রাণিত হবে না। আবার একজন সরকারি কর্মকর্তা যদি শুধু শৃঙ্খলার কথা বলেন, কিন্তু নিজে কাজে অনিয়ম করেন, তবে কেউ তাঁকে মানবে না।

ব্যক্তিজীবনেও কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কথার ভেতর লুকিয়ে থাকা অহংকার কমে যায়, বিনয়ী মনোভাব গড়ে ওঠে এবং মানুষ নিজের জীবনকে বাস্তবমুখী করে তুলতে পারে।

সবশেষে বলা যায়, সাফল্য কথার মধ্যে নয়, কর্মের মধ্যেই নিহিত। যারা কথার চেয়ে কাজকে প্রাধান্য দেন, তারাই প্রকৃত সম্মান ও দীর্ঘস্থায়ী স্বীকৃতি পান। ইতিহাসে সফল ব্যক্তিদের দিকে তাকালে দেখা যায়—তাঁরা বেশি বুলি আওড়াননি, বরং নিরবচ্ছিন্ন কর্মের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছেন। তাই আমাদের সবারই উচিত নীরবে কাজ করে যাওয়া, সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানো এবং সমাজে প্রমাণ করা—কথার চেয়ে কাজের মূল্য বেশি। “কথা কম, কাজ বেশি”—এটাই সফল মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য।

এই বিষয়ে আরো কয়েকজন মনিষীর জীবন থেকে দেখতে পাই

১. আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল: ধৈর্যের গল্প

টেলিফোন আবিষ্কারের পথ ছিল কঠিন। বেল কখনো প্রচার করেননি যে তিনি কী আবিষ্কার করতে যাচ্ছেন। বরং নীরবে কাজ করে গেছেন, বারবার ব্যর্থ হয়েছেন, আবার চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তাঁর টেলিফোন মানবসভ্যতায় যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
 

শিক্ষা: বড় কথা নয়, অবিচল কর্মই পৃথিবীকে বদলে দেয়।

২. নেলসন ম্যান্ডেলা: ত্যাগের প্রতীক

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য দূর করার জন্য ম্যান্ডেলা ২৭ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কারাগার থেকে বড় বড় বক্তৃতা দেননি, বরং কারাগারের ভেতরে থেকেও দৃঢ় মনোবল ধরে রেখেছিলেন। মুক্তির পর তিনি প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমাশীল নেতৃত্ব প্রদর্শন করেন।
  

শিক্ষা: কাজ ও ত্যাগের শক্তিই মানুষকে মহান করে তোলে।

৩. লিওনার্দো দা ভিঞ্চি: নীরব স্রষ্টা

তিনি শুধু চিত্রশিল্পীই নন, ছিলেন বিজ্ঞানী, স্থপতি ও আবিষ্কারক। তাঁর প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছে ‘মোনালিসা’, ‘দ্য লাস্ট সাপার’-এর মতো অসাধারণ শিল্পকর্মে। দা ভিঞ্চি নিজের কৃতিত্ব নিয়ে অহংকার করেননি, বরং সৃষ্টিশীল কাজের ভেতর দিয়েই তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
 

 শিক্ষা: নীরব কর্মপ্রচেষ্টা কথার চেয়ে শক্তিশালী পরিচয় গড়ে দেয়।

৪. মাদার তেরেসা: মানবতার সেবক

তিনি কখনো নিজের নামে প্রচার চালাননি, বড় বক্তৃতা দেননি। বরং গরিব, অসহায় ও অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করেছেন সারাজীবন। তাঁর কর্মই তাঁকে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছে, এবং আজও তিনি মানবতার প্রতীক হিসেবে স্মরণীয়।

 শিক্ষা: নিঃস্বার্থ কর্মই প্রকৃত মহত্ত্বের পরিচয়।

৫. আইজ্যাক নিউটন: বিজ্ঞানের নীরব দার্শনিক

নিউটন ছিলেন অন্তর্মুখী ও নীরবচরিত্রের মানুষ। তিনি বক্তৃতার চেয়ে গবেষণা ও কাজেই বেশি মনোযোগী ছিলেন। তাঁর আবিষ্কারগুলো বিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করেছে। তিনি খুব কম কথা বললেও তাঁর কাজ মানবসভ্যতার ইতিহাস চিরকাল বদলে দিয়েছে।
 

 শিক্ষা: প্রকৃত প্রতিভা কথায় নয়, কর্মে প্রকাশিত হয়।

আমরা যদি মনিষীদের বাণী পর্যালোচনা করি,তাহলে দেখতে পাই, তারা কিভাবে এই বিষয়টিকে দেখেছেন:- 

  1. কনফুসিয়াস (চীনা দার্শনিক)
      “Talk does not cook rice.”
    (কথা ভাত রাঁধে না।)

  2. জন লক (দার্শনিক)
      “The actions of men are the best interpreters of their thoughts.”
    (মানুষের কাজই তাদের চিন্তার শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যা।)

  3. বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন (মার্কিন রাষ্ট্রনায়ক)
      “Well done is better than well said.”
    (ভালো করে কাজ করা, ভালো করে বলার চেয়ে উত্তম।)

  4. মহাত্মা গান্ধী
      “An ounce of practice is worth more than tons of preaching.”
    (এক আউন্স কাজ, টন টন উপদেশের চেয়ে মূল্যবান।)

  5. আলবার্ট আইনস্টাইন
      “Strive not to be a success, but rather to be of value.”
    (সফল হওয়ার চেষ্টা নয়, মূল্যবান হওয়ার চেষ্টা করো।)

  6. হেনরি ফোর্ড (উদ্যোক্তা)
      “You can’t build a reputation on what you are going to do.”
    (আপনি কী করবেন তা বলে সুনাম গড়া যায় না, সুনাম গড়ে কাজ করেই।)

  7. স্টিভ জবস (অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা)
      “Innovation distinguishes between a leader and a follower.”
    (উদ্ভাবনী কাজই একজন নেতাকে অনুসারীর থেকে আলাদা করে।)

  8. মাদার তেরেসা
    - “Do not wait for leaders; do it alone, person to person.”
    (নেতার জন্য অপেক্ষা করো না; নিজেই কাজ করো, মানুষে মানুষে।)

সফলতার মূলমন্ত্র হলো কথার চেয়ে কাজকে প্রাধান্য দেওয়া। ইতিহাস প্রমাণ করে, যারা বেশি কথা বলে, কিন্তু কাজের মাধ্যমে কিছু প্রমাণ করতে পারে না, তাদের প্রভাব স্বল্পমেয়াদি হয়। অন্যদিকে, যারা নীরবভাবে কঠোর পরিশ্রম করে, অবিরাম অধ্যবসায় দেখায় এবং নিজের কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের আস্থা ও সম্মান অর্জন করে, তাঁরা স্থায়ীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।

যুক্তি হিসেবে দেখা যায়—কথা শুধু ধারণা বা প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, থমাস এডিসন হাজার ব্যর্থতার পর বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেছেন, কিন্তু তাঁর কথার চেয়ে কাজই তাঁকে বিশ্ববিখ্যাত করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথার মাধ্যমে নয়, সংগ্রাম ও কর্মের মাধ্যমে জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। মাদার তেরেসা, গান্ধী, নিউটন—সবাই নীরব অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ইতিহাসে চিরস্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করেছেন।

এ থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়—সাফল্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন কর্মনিষ্ঠা, অধ্যবসায় এবং পরিকল্পিত কাজ। কথার মাধ্যমে শুধু উৎসাহ বা ধারণা দেওয়া যায়, কিন্তু কাজের মধ্যেই বাস্তব ফল ও সাফল্যের প্রমাণ নিহিত। তাই যে ব্যক্তি কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী, ধৈর্যশীল এবং কার্যকরী, তিনি সমাজে প্রভাবশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সফলতা অর্জন করেন।

সর্বশেষে বলা যায়, কথার চেয়ে কাজ বেশি—এটাই প্রকৃত সফল মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য, এবং এটি যে কাউকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।